বিবর্তনবাদ বিরোধী স্বামী বিবেকানন্দ
Swami Vivekananda against Evolution
স্বামী বিবেকানন্দ |
ছোটোবেলা থেকেই আমাদের শেখানো হয় স্বামী বিবেকানন্দ মহান জ্ঞানী, তাঁর কোনো ভুল হতে পারে না। আমরা বিবেকানন্দকে চিনি তাঁর কিছু ভালো বাণীর মাধ্যমে কিন্তু খুব কম মানুষই বিবেকানন্দের সমস্ত লেখা পড়ে থাকেন। এমনকি বহু মানুষ আছেন যাদের কাছে স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা সংগ্রহ থাকলেও কোনোদিন পড়েনি। বিবেকানন্দের সমস্ত লেখা পড়লে একাধিক ভুল, স্ববিরোধীতা, সভ্য সমাজে বর্জিত চিন্তাধারা, অবৈজ্ঞানিক ও যুক্তিহীন কথা পাওয়া যাবে। এখানে বিবেকানন্দের একটা অবৈজ্ঞানিক লেখা এবং প্রকৃত বৈজ্ঞানিক তথ্য তুলে ধরছি।
স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন,কুসংস্কারের প্রভাব এমনি যে, যাহারা এই পুনর্জন্মবাদ অস্বীকার করে, তাহারাই আবার বিশ্বাস করে, এক সময়ে আমরা বানর ছিলাম; কিন্তু তাহাদের বানরজন্ম কেন স্মরণ হয় না-এ বিষয়ে অনুসন্ধান করিতেও ভরসা করে না। যখন শুনি, কোন প্রাচীন ঋষি বা সাধু সত্য প্রতক্ষ্য করিয়াছেন, আমরা আধুনিকেরা তাঁহাকে নির্বোধ বলিয়া থাকি; কিন্তু যদি কেহ বলে, হাক্সলি ইহা বলিয়াছেন, টিণ্ডাল ইহা বলিয়াছেন, তখন আমরা বলি উহা অবশ্যই সত্য হইবে-অমনি আমরা তাহা মানিয়া লই। প্রাচীন কুসংস্কারের পরিবর্তে আমরা আধুনিক কুসংস্কার আনিয়াছি, ধর্মের প্রাচীন পোপের পরিবর্তে আমরা আধুনিক পোপ বসাইয়াছি।
জন্ম শতবর্ষ স্মরণে স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা - দ্বিতীয় খণ্ড, উদ্বোধন কার্যালয় কলিকাতা, প্রথম সংস্করণ পৌষ-কৃষ্ণাসপ্তমী,১৩৬৭, জ্ঞানযোগ, জগৎ(২) (পৃষ্ঠা – ১২৭)
প্রায় সমস্ত ধর্মের সকল উগ্ৰ ধর্মান্ধ মানুষদের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য বিবর্তনবাদের বিরোধীতা করা। স্বামী বিবেকানন্দও এর ব্যতিক্রম ছিলেন না। মানুষ যে ঈশ্বরের সন্তান নয়- এই কথাটা তারা মানতে রাজি নয়। আব্রাহামিক ধর্মগুলির মানুষেরা অর্থাৎ ইহুদী, খ্রিস্টান , মুসলমানরা বিশ্বাস করে আদম-হবা কাহিনী; হিন্দুরা বিশ্বাস করে ব্রহ্মা থেকে মনুর জন্ম ও তার স্ত্রী শতরূপা কাহিনী। সকল ধর্মমত অনুযায়ী – মানুষ ঈশ্বরের সন্তান।
[Science teacher arrested over blasphemy in Bangladesh]
ধর্মের কল্পকাহিনী গুলোকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় ডারউইনের বিবর্তনবাদ। একশো ষাট বছর আগে ধর্ম বিশ্বাসে আঘাত সেসময়ের মানুষেরা মেনে নিতে পারেনি, এখনও একই অবস্থা। হাক্সলে ছিলেন ডারউনইনের বিবর্তনবাদের সমর্থক। স্বামী বিবেকানন্দ বিবর্তনবাদের সমর্থক বিজ্ঞানীদের ‘আধুনিক পোপ' বলেছেন। স্বামী বিবেকানন্দ পুনর্জন্মকে সত্যি বলেছেন এবং বিবর্তনকে অস্বীকার করেছেন। বিবর্তনবাদকে বিবেকানন্দ বলেছেন ‘আধুনিক কুসংস্কার'। বিবেকানন্দ পুনর্জন্মকে মান্যতা দিয়েছেন কিন্তু আজ পর্যন্ত পুনর্জন্মের কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
স্বামী বিবেকানন্দের বিবর্তনবাদ সম্পর্কে যে ভুল ধারণা ছিল তা বোঝা যায়। বিবেকানন্দের মতে – বিবর্তনবাদীরা মনে করেন বানর থেকে মানুষের সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান সময়েও মানুষের মধ্যে এই বিভ্রান্তি রয়েছে। অধিকাংশ মানুষ মনে করে, বিবর্তনবাদ অনুযায়ী – বানর থেকে মানুষের সৃষ্টি হয়েছে; কিন্তু প্রকৃত সত্য হল – বানর ও মানুষ উভয়েই একই আদি পূর্বপুরুষ থেকে ভিন্ন বিবর্তনের ধারায় সৃষ্টি হয়েছে।
বানর থেকে মানুষের সৃষ্টির কোনো প্রশ্নই ওঠে না। মূল কথা হল – মানুষ এবং বানরের পূর্বপুরুষ এক ছিল।
বিবেকানন্দের লেখার মধ্যে এইরকম বহু অবৈজ্ঞানিক যুক্তিহীন কথা রয়েছে। অন্ধভাবে ভক্তি করলে কখনো ভুল দেখা যায় না। এজন্য বিবেকানন্দ সম্পর্কে জানতে বিবেকানন্দের নিজের লেখা বইগুলি যুক্তিবাদী মনে পড়া উচিত।
আরও পড়ুন: বিবেকানন্দ সম্পর্কে সকল প্রবন্ধ
Apni Vivekananda sambandhe janen na. Vivartanbad niye Swamiji ki bolechen ta apni bojhen ni. Apnar khetre bola jai alpa vidya pralayankari. Swami Vivekananda bani o rachana puro ta mon diye open mind e porun. Swamiji nije bolechen amra ishwar er sontan. Sara jibon dhore ei kotha ta tini bole gechen. Kintu apnar ei kotha sune Bhojha jai apni Swamiji sambandhe na jene comment koren. Eta educated manusher murkhami.
উত্তরমুছুনস্বামীজী নিজে বলেছেন - আমরা ঈশ্বরের সন্তান। তাই এটা ঠিক?? এখন পর্যন্ত সমস্ত বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় এটা প্রমাণিত মানুষের সৃষ্টিতে ঈশ্বর নামক কোনো কাল্পনিক চরিত্রের অবদান শূন্য।
মুছুনযুক্তি, বিচার বুদ্ধির মাধ্যমে কিছু আলোচনা করতে চাইলে সবসময় আপনাকে স্বাগত। এরপর আপনি comment করলে নিজের নামে কমেন্ট করবেন, সেটা না পারলেও অন্তত anonymas ভাবে কমেন্ট করবেন না। ধন্যবাদ।
মুছুনApnar abagatir jonnyo boli scientist ra onekei Darwin evolution theory niye sandeha prakash koren. Science ta ekbar porun. Echara Lamark er matavad porun. Modern Physics er scientist jemon Schrodinger , Niels Bohr ,Einstein sokolei upanishad geeta o Sankhya Darshan ke guruttwa diyechen.
উত্তরমুছুনঅনেক বিজ্ঞানী ডারউইনবাদ সম্পর্কে সন্দেহ করতেই পারেন। কোনো থিয়োরিকে যে কেউ বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ করতেই পারেন। ডারউইনও তথ্য এবং প্রমাণের ভিত্তিতে নিজের মতামত দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে কিছু অসম্পূর্ণতা পাওয়া গেছে, কিন্তু তার মানে এই নয় যে - ডারউইন পুরোপুরি ভুল এবং 'মানুষ ঈশ্বরের সন্তান'এটা ঠিক। যদি কেউ উপযুক্ত প্রমাণের মাধ্যমে মানুষের ক্রমবিকাশের ধারা দেখাতে পারেন, তবে তাঁর মতামত বিজ্ঞানজগতে গৃহীত হবে।
মুছুনকাল্পনিক সর্বশক্তিমান ঈশ্বরে বিশ্বাসীদের এই একটা সমস্যা। হিন্দুরা বলে বেদ, উপনিষদ, গীতা এই গ্ৰন্থগুলো বিজ্ঞানের তত্ত্বে পূর্ণ। মুসলমানরা বলে কোরানের প্রতিটা আয়াতে বিজ্ঞানের সূত্র রয়েছে।
মুছুনআপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি সাংখ্য দর্শন ভারতবর্ষের প্রাচীন দর্শনগুলির মধ্যে অন্যতম এবং সাংখ্য দর্শন নাস্তিক্যবাদী।